তালা(সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: তালা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের মোহরার সেলিম হোসেন (৪৫) এর রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। গত ৭ জানুয়ারী রাতে ঢাকায় দ্বিতীয় স্ত্রীর বাসায় তার মৃত্যু হয়। এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবী করা হলেও থানায় কোন লিখিত অভিযোগ না করায় পুলিশ কোন ব্যাবস্থা নিতে পারছেনা।
তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়নের ঘোনা গ্রামের মৃত: শওকত আলী শেখের ছেলে সেলিম হোসেন (৪৫) ৭/৮ বছর আগে একই এলাকার বাবর আলী মৃধার মেয়ে রোজিনা আক্তার (৩২) কে বিয়ে করেন। ঘরে সেলিমের স্ত্রী সন্তান থাকায় বাপের বাড়ীতেই সেলিমের খরচে লেখাপড়া করতো রোজিনা। গত ২/৩ বছর আগে তাদের একবার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটলেও অল্প দিনের ব্যাবধানে তারা আবার মিলে যান। বছর দেড়েক আগে এলএলবি পড়ার উদ্দেশ্যে রোজিনাকে ঢাকায় মিরপুর-১ নং সেকশানে ভাড়া বাড়ীতে থাকার ব্যাবস্থা করে সেখানে নিয়মিত যাতায়াত করতে থাকেন মোহরার সেলিম। গত ৫ জানুয়ারি ঢাকায় তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে বের হন সেলিম। ৭ জানুয়ারী গভীর রাতে ঢাকা থেকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী ফোন করে জানান হার্ট এ্যাটাকে সেলিমের মৃত্যু হয়েছে। পরদিন বাড়ীর লোকজন ঢাকা থেকে সেলিমের লাশ এনে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করে। সেলিমের পারিবারিক সুত্র জানায়, সেলিম ঢাকায় অসুস্থ্য হলে তাকে কোন হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল কি-না জানতে চাইলে, দ্বিতীয় স্ত্রী রোজিনা জানান, ঢাকার ডেলটা ক্লিনিকে তাকে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছিল। পরে ওই ক্লিনিকে গিয়ে সেলিমের পরিবারের লোকজন খোঁজ নিলে মৃত্যুর প্রায় আড়াই ঘন্টা পর তাকে ক্লিনিকে নেয়া হয়েছিল বলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জানায়। পরে এনিয়ে আর বাড়াবাড়ি না করে লাশ পারিবারিক কবরস্তানে দাফন করা হয়। এসংক্রান্তে তালা থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান হাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ঘটনস্থল ঢাকায় হওয়ায় সেখানে অভিযোগ করলে মামলার তদন্ত কাজ সহজ হতো, তার পরও তালা থানায় এবিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি।