সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: মাত্র ৬ শয্যা বিশিষ্ট সুনামগঞ্জ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে (মাতৃমঙ্গল) আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি আজো। মান্দাতার আমলের টিনশেড ভবনে চলছে স্বাস্থ্য সেবার নানা জরুরী কার্যক্রম। স্বাভাবিক ডেলিভারী থেকে শুরু করে সিজারিয়ান অপারেশন হচ্ছে এ কেন্দ্রে অথচ অপ্রিয় সত্য যে এ কেন্দ্রটির উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ উদাসীন। যুগ বদলায় কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এ কেন্দ্রটির দৃশ্যপট বদলায় না। জেলা শহরে অবস্থিত এ কেন্দ্রটি বছরের পর বছর মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবায় বিভাগ তথা দেশের মধ্যে ব্যাপক সুনাম অর্জন করে সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখছে কিন্তু কেন্দ্রটির কোন পরিবর্তন হচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিকিৎসক সংকট থাকা সত্বেও এ কেন্দ্র থেকে মা ও স্বাস্থ্য সেবায় চলছে নিবিড় পরিচর্যা। মেডিকেল অফিসার (ক্লিনিক) ডা. মো. জসীম উদ্দিন খানকে দিয়ে প্রতিদিন অগনিত রোগীদের মধ্যে নানা সেবা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সম্প্রতি এ কেন্দ্র থেকে এনেসথেসিয়া ডাক্তার একেএম মো.মফিজুল ইসলাম বদলী হয়ে জেলার দক্ষিন সুনামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে বদলী হয়ে যাওয়ার পরও, সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাশ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মোজাম্মেল হক, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী মো.আবুল কালাম ও অন্যান্য লোকদের সহযোগিতায় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে মহিলাদের সিজারিয়ান অপারেশন অব্যাহত রয়েছে। মা ও শিশু কল্যাণ সুত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে সিলেট বিভাগের সকল এমসিডব্লিউসি-এর মধ্যে স্বাভাবিক ডেলিভারী ও সিজিরিয়ান অপারেশনের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে সুনামগঞ্জের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। সুত্রে মতে স্বাভাবিক ডেলিভারী হয়েছে ৬৬৮ এবং সিজারিয়ান অপারেশন ১৩০টি। যা সাধারণ নিয়মের মধ্যেই পড়ে। এ ছাড়া উক্ত মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ইওসি প্রোগ্রাম এবং জাতীয় জনসংখ্যা দিবসে সারাদেশে এবং সিলেট বিভাগের মধ্যে ৪/৫ বার প্রথম স্থান অধিকার করে সুনাম ধরে রাখছে। প্রধান উপদেষ্ঠা এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয়ের কাছ থেকেও পদক প্রাপ্ত হয়ে উক্ত মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রটি সুনামগঞ্জবাসীর ভরসার কেন্দ্র বিন্দু হিসেবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সুনামগঞ্জ ভাটি জনপদ। হাওর বেষ্টিত এ অঞ্চলে বিশেষ করে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবায় অনন্য অবদান রেখে গেলেও কেন্দ্রটির নুন্যতম কোন উন্নয়ন চোখে পড়ছে না। সুনামগঞ্জবাসী দ্রুত এ কেন্দ্রটির উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।