স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে দ্বিতীয় স্প্যান উঠছে আজ শুক্রবার। শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা প্রান্তের ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারের ওপর এই সুপার স্ট্রাকচার বসানোর মধ্য দিয়ে নিজের রূপ পেতে আরেকধাপ এগিয়ে যাবে পদ্মা সেতু। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। এমন ৪১টি স্প্যান জোড়া দিয়েই সেতুটি তৈরি হবে।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের মধ্যে পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান বসানো হয়। এর প্রায় চার মাস পর আরেকটি স্টিলের অবকাঠামো (স্প্যান) বসতে যাচ্ছে।
শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে পেইন্টিং ও বিশেষজ্ঞদের যাচাই-বাছাই শেষে স্প্যানটি নিয়ে রওয়ানা হবে বিশেষ ক্রেন। পরে দুই হাজার ৮০০ টন ওজনের স্প্যানটি বসানো হবে বলে জানান সেতু প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা।
এটি শক্তিশালী ক্রেন দিয়ে মাওয়া প্রান্ত থেকে নিয়ে জাজিরা প্রান্তের পিলারে বসানো হবে। আগের স্প্যানটিও জাজিরা প্রান্তে বসানো হয়।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, দ্বিতীয় স্প্যান বসানোর কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। শুক্রবার তা পিলারের ওপর বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। স্টিলের স্প্যানটির ওজন প্রায় ২ হাজার ৮০০ টন। এটি শক্তিশালী ক্রেন দিয়ে মাওয়া প্রান্ত থেকে নিয়ে জাজিরার নাওডোবা প্রান্তের পিলারে বসানো হবে। আগের স্প্যানটিও জাজিরার নাওডোবা প্রান্তে বসানো হয়।
তিনি আরও জানান, কুয়াশার কারণে স্প্যান বসানোর কাজে কিছুটা ব্যাঘাত হয়েছে। ১২টি স্প্যান প্রকল্প এলাকায় আছে। তৃতীয় স্প্যানটিও বসানোর মতো অবস্থায় আছে। এখন কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম স্প্যান বসানোর পর প্রতি মাসে একটি করে স্প্যান ওঠানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছিলেন পদ্মা সেতুর প্রকৌশলীরা।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২টি খুঁটির ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। সেতুর মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি।