বকেয়া মজুরি পরিশোধসহ ১১ দফা দাবিতে পাটকলের শ্রমিকদের কর্মবিরতির ২২তম দিনে তারা এ লাঠি মিছিল করেছেন। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ৬ পাটকলের অর্ধলক্ষ শ্রমিকদের লাঠি মিছিলে উত্তাল হয়ে উঠে শিল্পনগরী খুলনা।
রবিবার বেলা ১১টায় খালিশপুর, আটরা শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকরা স্ব স্ব মিল গেটে জড় হয়ে একযোগে এ লাঠি মিছিলে যোগ দেন। মিছিল শিল্পাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিলগেটে গিয়ে শেষ করে।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা লাঠি মিছিলে পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম ও বিজেএমসির চেয়ারম্যানকে অযোগ্য ঘোষণা করে তাদের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
লাঠি মিছিলে অংশগ্রহণ করেন পাটকল সিবিএ নন সিবিএ পরিষদের কার্যকরী আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক কওছার আলী, শ্রমিক নেতা গাজী মাসুম, জাকির হোসেন, আব্দুর রশিদ, আবু হানিফ, খলিলুর রহমান প্রমুখ।
শ্রমিক নেতারা ২৪ জানুয়ারি ভুখা মিছিল, ২৫ জানুয়ারি সাংবাদিকদের সাথে বৈঠক, ২৬ জানুয়ারি বিকাল ৩টায় জনসভা, ২৮ জানুয়ারি থেকে ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘট ও বিক্ষোভ মিছিল, ৩১ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা রেলপথ-রাজপথ অবরোধে সকল শ্রমিকদের অংশগ্রহণের আহবান জানান।
এ সময়ের মধ্যে দাবি মানা না হলে ৪ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় কমিটি ঢাকায় বৈঠক করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে জানান তারা।
প্রসঙ্গত, বকেয়া মজুরি পাওনার দাবিতে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, স্টার, ইস্টার্ন, আলিম, দৌলতপুর, খালিশপুর ও যশোরের জেজেআই জুট মিলের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) থেকে আংশিক মজুরি পাওয়ায় দৌলতপুর ও খালিশপুর জুট মিলের শ্রমিকরা কাজে যোগ দেন। তবে ৬টি পাটকলের শ্রমিকরা তাদের কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছেন।