পুঁজিবাজারে গত প্রায় দেড় সপ্তাহে ব্যাপক দরপতনের পর এখন কিছুটা থেমেছে। বর্তমানে সূচক বাড়তে শুরু করেছে। এরমধ্যে বাজারে ব্যাংকিং খাতের দাপট কমেছে। গত প্রায় ছয় মাস ধরে বাজারে লেনদেনের ক্ষেত্রে শীর্ষে ছিল ব্যাংকিং খাত। এখন উঠে আসছে প্রকৌশল খাত এবং ওষুধ ও রসায়ন খাত।
মার্চেন্ট ব্যাংকাররা বলছেন, গত কয়েক মাসে ব্যাংকিং খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম অনেকটা বেড়েছে। ব্যাংকের দাম তলানীতে পড়ে ছিল। সেখান থেকে উঠে ব্যাংকিং খাতের শেয়ারের দাম একটি পর্যায়ে এসেছে। এখন বিনিয়োগকারীরা ব্যাংকিং খাতের তুলনায় অন্য দিকে ঝুঁকছেন। ফলে অন্য খাতের লেনদেন বাড়ছে।
গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে প্রকৌশল খাতে। এ খাতের কোম্পানিগুলোতে ৭৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের প্রায় সাড়ে ২১ শতাংশ। লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। এ খাতের কোম্পানিগুলোতে লেনদেন হয়েছে ৬১ কোটি টাকা। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ৭০ শতাংশ। লেনদেনের ক্ষেত্রে তৃতীয় স্থানে ছিল ব্যাংকিং খাত। এ খাতের কোম্পানিগুলোতে লেনদেন হয়েছে ৫১ কোটি টাকা। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের প্রায় ১৫ শতাংশ। গতকাল ডিএসইতে সূচক বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও বেশি অবদান ছিল প্রকৌশল খাত এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতের।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকিং খাতের শেয়ারের দাম তুলনামূলকভাবে অনেক তলানীতে সেজন্যই গত কয়েক মাসে কোম্পানিগুলোর দাম বেড়েছে। তবে ব্যাংকের শেয়ারের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে কিছু মৌলভিত্তি হীন ব্যাংকের শেয়ারের দামও অনেক বেড়ে যায়। পরে সে ব্যাংকগুলোর শেয়ারের দাম সংশোধন হয়েছে। মার্চেন্ট ব্যাংকাররা বলছেন, খাত বিবেচনা করে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা উচিত নয়। বাজারে বিনিয়োগ করা উচিত কোম্পানির মৌলভিত্তি বিবেচনা করে। এটি বিবেচনা করলে দেখা যায় এখনও অনেক কোম্পানির শেয়ারের দাম তুলনামূলকভাবে কম দামে রয়েছে।