1. rajubdnews@gmail.com : admin :
  2. 52newsbangla@gmail.com : News 52 Bangla : Nurul Huda News 52 Bangla
  3. 52newsbangla1@gmail.com : News 52 Bangla : Nurul Huda News 52 Bangla
শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ০৮:০৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ :

বন্যায় ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বোরো আবাদে মাঠে নেমেছে কৃষক

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৮

পর পর দুই বছর বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া কৃষক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে বোরো আবাদে। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের সামর্থ্য না থাকায় সনাতন পদ্ধতিতে লাঙ্গল গরু দিয়েই চলছে জমি চাষের কাজ এবং মই দেওয়া। পুরুষের পাশাপাশি মজুর খরচ কমাতে এলাকার নারীরাও মাঠে নেমেছে বোরো আবাদে।

গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসের এবং আগের বছরের একই সময়ে অবিরাম বৃষ্টি, উজানের পানি, হরিহর, আপার ভদ্রা ও বুড়ি ভদ্রা নদীর তলদেশ পলিতে উঁচু হয়ে যাওয়ায় উপচে পড়া পানিতে সৃষ্ট বন্যায় কেশবপুর উপজেলার আউশ আমন, শাক সবজি, মরিচ, পানসহ অন্যান্য ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। বন্যার পানিতে ভেসে যায় প্রায় সাত হাজারের মধ্যে সাড়ে তিন হাজার মাছের ঘের ও পুকুরের কোটি কোটি টাকার মাছ। বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পড়ে লক্ষাধিক মানুষ। বাড়ি ঘর ছেড়ে প্রায় ২০ হাজার মানুষ যশোর-চুকনগর সড়কের পাশে টং ঘর বেঁধে, উঁচু স্থান ও স্কুল-কলেজের আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।

দুই বছর পর পর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষক শ্রেণীর মানুষ। বন্যায় ফসল হারিয়ে তারা সম্পূর্ণ অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে গেছে। বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া কৃষক ক্ষতি কাটিয়ে উঠে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে তাই কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে বোরো আবাদে। মজুর খরচ কমাতে এলাকার নারীরাও মাঠে নেমেছে বোরো আবাদে সহযোগিতার জন্য। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের সামর্থ্য না থাকায় অনেক কৃষকেরা সনাতন পদ্ধতিতে লাঙ্গল গরু দিয়েই জমি চাষের কাজ করছে।

চলতি বোরো মৌসুমে কেশবপুর উপজেলায় ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্র জানায় নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এবার ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হবে। যা থেকে ২৩২ কোটি টাকার ৯২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে। তবে এলাকার কৃষকেরা বলছে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বোরো আবাদ করতে তাদের অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। চারা লাগানো থেকে ধান কাটা পর্যন্ত যদি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তা হলে তারা বন্যার ক্ষতি অনেকটা পুষিয়ে উঠবে।

কেশবপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মহাদেব চন্দ্র সানা জানান, পুরোদমে বোরো আবাদের চাষ শুরু হয়েছে। মাঠে আদর্শ বীজতলা তৈরি হয়েছে। যে কারণে এবার ৫০০ মেট্রিক টন বীজ সাশ্রয় হয়েছে। ধানের দাম বেশি হওয়ায় নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আরও দুই হাজার হেক্টর জমিতে বেশি বোরো আবাদ হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরও খবর
2019 All rights reserved by |Dainik Donet Bangladesh| Design and Developed by- News 52 Bangla Team.
Theme Customized BY News52Bamg;a