সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ পৌরসভার গনিপুর গ্রাম থেকে নারী নির্যাতন মামলার আসামি ও গনিপুর মসজিদের ইমাম আতাউর রহমানকে গ্রেফতারের পর থানায় নিয়ে আসার পথে পুলিশের উপর হামলা করে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ জানায়, আতাউরকে গ্রেফতার করে সদর থানায় নিয়ে আসার সময় আতাউরের স্বজন ও গনিপুর গ্রামের বেশ কয়েকজন নারী পুরুষ পুলিশের উপর হামলা করে আসামী আতাউরকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ৬ জন কে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ আরও জানায়, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে সদর উপজেলার শাখাইতি গ্রামের মাওলানা রিয়াজ উদ্দিনের মেয়ে হাবিবা আক্তার বাদি হয়ে তার স্বামী আতাউর রহমান, দেবর কামরুল, শশুর আবুল কাশেম ও আবুল কালাম এবং ননদ সুচনা বেগম কে আসামি করে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি যৌতুকের মামলা দায়ের করেন । মামলা দায়ের পর থেকে আসামী আতাউর ও তার স্বজনরা পলাতক ছিলেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, হাবিবার দেবর কামরুল কে বিদেশে পাঠানোর জন্য নগদ তিন লাখ টাকা বাবার বাড়ি থেকে এনে দিতে চাপ প্রয়োগ করছিলো শশুর বাড়ির লোকজন। এ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় হাবিবা আক্তারের উপরে চালানো হয় অত্যাচার নির্যাতন।
শনিবার সকালে সদর মডেল থানার এস আই আলমগীরের নেতৃুত্বে পুলিশের একটি দল গনিপুর এলাকায় মুল আসামী ও গনিপুর জামে মসজিদের ইমাম আতাউর রহমান কে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসার সময় পুলিশের উপর হামলা করে আসামি ছিনতাই করে নিয়ে যায় আতাউরের স্বজন ও সহযোগীরা। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে ৬জনকে আটক করে। এ ঘটনায় আরো একটি মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো: খোরশেদ আলম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থালে এসে বিষয় সম্পর্কে খোজ খবর নিয়েছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তিনি আরও বলেন মসজিদের ইমাম হয়েও যৌতুকের জন্য আতাউর তার স্ত্রীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। এনিয়ে থানায় মামলা হয়েছে। এর আগে বেশ কয়েকবার সামাজিক সালিশও হয়েছে কিন্তু বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়নি।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, সুনিদৃষ্ট মামলার প্রেক্ষিতে তিনি ও সদর থানার পুলিশ আসামী গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসছিলেন। আসামী আতাউরের স্বজন ও গনিপুর গ্রামের কিছু উশৃঙ্খল লোকজন পুলিশের উপর হামলা করে মুল আসামীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সদর থানার ওসি মোঃ শহীদুল্লাহ। এছাড়া আসামী ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে। পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে।
এব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাবিব উল্লাহ জানান, ২ঘন্টা সাড়াশি অভিযান চালিয়ে মুল আসামী আতাউরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।