নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম বন্দরের সকল সেবার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। একই সঙ্গে সেবা খাতের নির্দিষ্ট কোডের বাইরে থাকা পণ্যও ভ্যাটের আওতায় পড়বে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ইতিপূর্বে বন্দরের ৬০টি সেবার মধ্যে ২৫টির ওপর ভ্যাট প্রযোজ্য ছিল। সেবা খাতের নির্দিষ্ট কোডের মধ্যে ও এর বাইরে সকল পণ্যের ওপর ভ্যাট আরোপের ফলে আমদানি পণ্যের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বাচ্চু বলেন, পণ্যের ওপর আরো একটি খাতে ভ্যাটের সম্প্রসারণ হলো। আমদানি পণ্যের ওপর বিভিন্ন ক্ষেত্রে একাধিকবার ভ্যাট আরোপের ফলে খুব স্বাভাবিকভাবে পণ্যের আমদানি মূল্য বেড়ে যাবে এবং শেষ পর্যন্ত ভোক্তাকেই এই বর্ধিত মূল্য পরিশোধ করতে হবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ ডিসেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে চট্টগ্রাম বন্দরকে দেয়া এক পত্রে সকল সেবার ওপর ভ্যাট আরোপের কথা বলা হয়। এতে ২০১৩ সাল থেকে সকল সেবার ওপর ভ্যাট আরোপ করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মতামত ও অনুমোদন চায়। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে এটি কার্যকর করার ব্যাপারে অনুমোদন দেয়। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পত্র পাওয়ার পর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে নোটিস জারি করে। বন্দরের পক্ষ থেকে বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিচালিত ট্যারিফের সমুদয় আইটেমের ওপর ১৫ ভাগ ভ্যাট আদায় করা হবে। ভ্যাট আরোপের ক্ষেত্রসমূহের মধ্যে রয়েছে – পণ্য মজুদ বা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা যায় এমন সকল প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কর্মকাণ্ডের ওপর ভ্যাট আরোপ হবে। পণ্যের নিরাপদ স্ক্যানিং সেবাসমূহও এর আওতায় পড়বে। পণ্য চালানের নিষ্পত্তি বিষয়ক কর্মকাণ্ডকে বন্দর সেবার আওতাভুক্ত করা হচ্ছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক চার ধরনের অপারেশনাল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে বহির্নোঙর থেকে ডেলিভারি, ওভারসাইড ডেলিভারি, হুক পয়েন্ট হতে সরাসরি ডেলিভারি এবং মজুদ বা সংরক্ষণ পরবর্তীতে সিএন্ডএফ শেড, সাধারণ শেড, এবি শেড ও ইয়ার্ড থেকে ডেলিভারি। এর সবগুলো সেবা খাতের ওপর ভ্যাট প্রযোজ্য হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃক দেয়া নোটিসে বলা হয়, ৬০টি সেবা আইটেমের মধ্যে পূর্বের ২৫টি বাদে বর্তমানের ৩৫টি বিভিন্ন ধরনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পণ্য চালানের নিষ্পত্তি বিষয়ক কর্মকাণ্ড বিবেচনায় বন্দর সেবার আওতাভুক্ত। এতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সেবাসমূহ করযোগ্য সেবার আওতাভুক্ত হওয়ায় উক্ত সেবাসমূহ সরবরাহের বিনিময়ে প্রাপ্ত সমুদয় অর্থের ওপর শতকরা ১৫ ভাগ হারে ভ্যাট আদায়যোগ্য।