ডেস্ক রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী আজ রাজশাহী আসছেন। টানা দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর এটাই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার প্রথম রাজশাহী সফর। এর আগে ২০১১ সালে ২৪ নভেম্বর তিনি সর্বশেষ রাজশাহী সফর করেন। প্রধানমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার অপরাহ্নে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে রাজশাহী মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে নাটোর কাদিরাবাদ সেনানিবাসে যাবেন। সেখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের ৬ষ্ঠ কোর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করবেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে মহানগরসহ জেলাজুড়ে সাজ সাজ রব উঠেছে। রাজশাহীর সড়ক-মহাসড়কজুড়ে একটু পর পর চোখে পড়ছে সুদৃশ্য তোরণ। এতে শোভা পাচ্ছে রঙ-বে-রঙের ডিজিটাল ব্যানার আর ফেস্টুন। রাতে চোখে পড়ছে দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা। শুধু রাজশাহী মহানগরী নয়, শহর ছেড়ে গ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে এমন সাজ সাজ রব। সবখানেই বিরাজ করছে উত্সবের আমেজ। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। ব্যস্ত সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দফতরও।
জনসভায় যোগ দিতে সড়কপথে সাধারণ মানুষ আর নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সরকারের মন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় নেতারাও রাজশাহী আসবেন। তাই সংস্কার করা হচ্ছে প্রধান সড়কগুলোও। পাশাপাশি চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। সড়কের দু’পাশে চলছে দেয়াল লিখন। এ ছাড়া জনসভা সফল করতে মাইকিংও চলছে জোরেশোরে।
এ ব্যাপারে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সব আয়োজন প্রধানমন্ত্রীর জন্য। দলের নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তোরণ নির্মাণ করেছেন। আমাদের প্রধান টার্গেট হচ্ছে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে জনসভায় অংশগ্রহণ করানো। এ জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে গিয়ে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের খবর সাধারণ মানুষকে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মাইকিং তো চলছেই।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের প্রকল্পগুলো হচ্ছে- রাজশাহী মেট্রোপলিটান পুলিশের (আরএমপি) ৮টি নতুন, ইঞ্জিনিয়ারিং এডুকেশন বিভাগের ৮টি ভবন, ২টি বিদ্যুত্ বিতরণ উপকেন্দ্র, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের একটি সংযোগ সড়কের ফ্লাইওভার, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের একটি রাবার বাঁধ, ২টি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড সার্ভে ইনস্টিটিউট, চারঘাট ও গোদাগাড়ী উপজেলার তিনটি সড়ক, পুঠিয়ায় একটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র প্রকল্প। আসন্ন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ও একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় প্রধানকে নতুন করে ৯টি প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তাব করবেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
অন্যদিকে স্থানীয় অরাজনৈতিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ রাজশাহীর উন্নয়নে ১৭টি এবং রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদ ও নাগরিক সমন্বয় কমিটিও প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৃথকভাবে নিজ নিজ দাবিনামা প্রস্তুত করেছেন। c