‘বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে চলমান সমঝোতা অনুযায়ী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের দ্রুত ফিরিয়ে নেবে মিয়ানমার।’ স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ)-এর বার্ষিক সংসদীয় শুনানি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা বলেন, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি।
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের মানবিক কারণে বাংলাদেশ নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছে মর্মে এমপি ফারুক খান উল্লেখ করেন। তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য জাতিসংঘ ও আইপিইউকে ধন্যবাদ জানান।
দুই দিনব্যাপী এই বার্ষিক সংসদীয় শুনানিতে মুহাম্মদ ফারুক খান ৬ সদস্যের বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বাংলাদেশ ডেলিগেশনের অন্যান্য সদস্যের মধ্যে রয়েছেন সংসদ সদস্য মুন্নুজান সুফিয়ান, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, ফখরুল ইমাম, আনোয়ারুল আবেদীন খান ও আয়েন উদ্দিন।
এবারের সংসদীয় শুনানির বিষয় ছিল ‘নিরাপদ, নিয়মতান্ত্রিক ও নিয়মিত মাইগ্রেশনের জন্য গ্লোবাল কমপ্যাক্ট: একটি সংসদীয় দৃষ্টিভঙ্গি’। বিষয়টির উল্লেখ করে এমপি ফারুক খান বলেন, এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছে প্রায় ৯ মিলিয়নেরও বেশি বাংলাদেশের অভিবাসী। বাংলাদেশ অভিবাসীদের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। নিরাপদ, নিয়মতান্ত্রিক ও নিয়মিত অভিবাসনকে এগিয়ে নিতে এবং ‘অভিবাসী অবস্থা’ নির্বিশেষে সকল অভিবাসীদের মর্যাদা ও মৌলিক অধিকার সুরক্ষা করতে বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে।
সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, শরণার্থী ও অভিবাসন সংক্রান্ত নিউইয়র্ক ঘোষণার সময় টেকসই লক্ষ্যমাত্রার আলোকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরাপদ, নিয়মতান্ত্রিক ও নিয়মিত অভিবাসন নিশ্চিতকল্পে এর বৈশ্বিক কমপ্যাক্ট প্রণয়নের উপর যে গুরুত্বারোপ করেছিলেন, সেলক্ষ্যে জাতিসংঘে ইতোমধ্যে নেগোসিয়েশন শুরু হয়েছে। আইপিইউ’র এই শুনানি তারই একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
দুই দিনব্যাপী এই সংসদীয় শুনানির বৃহস্পতিবার ছিল প্রথম দিন। সকাল পৌনে ১০টায় এর উদ্বোধনী সেশনে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি মিরোস্লাভ ল্যাজাক।