নিজস্ব প্রতিবেদক: দলীয় কার্যালয়ে নিজেকে ‘বন্দী’ করে রাখা বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী ভোরে বের হয়ে মিছিল করলেন।
দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে দেয়া আর ‘সুচিকিৎসার’ দাবি নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের নেতৃত্বে দলের জনা বিশেক নেতা-কর্মী সাত সকালে এবার মিছিল করলেন গুলশান এলাকায়।
রবিবার সকাল পৌনে আটটার দিকে মিছিলটি বনানী বাজার থেকে শুরু হয়ে গুলশান-১ নম্বর গোল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এতে বিএনপির বড় নেতাদের মধ্যে রিজভী ছাড়া আর কেউ ছিলেন না।
পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে রিজভী অবস্থান করছেন নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে। গ্রেপ্তার হতে পারেন, এই আশঙ্কায় তিনি সচরাচর কার্যালয় ছাড়েন না। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা রিজভীকে বিএনপির আবাসিক নেতা বলেও টিপ্পনি কাটেন।
এই সময়ের মধ্যে রিজভী কখনও কখনও কার্যালয়ের নিচে আসলেও ‘মুক্ত হাওয়ায়’ বেশিক্ষণ অবস্থান করেন না। মাঝে একদিন সূর্য উঠার আগে এবং সূর্য উঠার পর পর নয়াপল্টনে ঝটিকা মিছিল করেন তিনি।
তবে দলীয় কার্যালয়ের পাশে দুই দিন মিছিল করার পর এবার নগরীর অন্য এলাকায় যাওয়ার মনস্থির করেছেন রিজভী। ঈদের পর তিনি সকাল সকাল মিরপুর এলাকায় মিছিল করে এসেছেন।
আজকের মিছিল শেষে রিজভী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পূর্বঘোষিত কোনো কর্মসূচি ছাড়াই চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে সকালে বিক্ষোভ-মিছিল করেছি। এর জন্য কোনো কর্মসূচির প্রয়োজন হয় না।’
‘এ ছাড়া আমি তো অনেকটা বন্দী অবস্থায় রয়েছি। কাউকে বলে কয়ে কোথাও যাওয়া যায় না। তাই যখনই সুযোগ পাই, তখনই মিছিল করে অফিসে চলে আসি।’
দলীয় কার্যালয় থেকে কেন বের হন না- জানতে চাইলে বিএনপি নেতার দাবি, বের হলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করবে। আর গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি সেখানে অবস্থান করছেন।
রিজভী বাইরে না আসলেও দলীয় কার্যালয়ে বসে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলন করেন এবং সরকারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানের হুমকি দেন নিয়মিত।