পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় হালিমা (১০) নামে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। বুধবার ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে মারা যায়।
নিহত হালিমা উপজেলার হেতালিয়া গ্রামের গার্মেন্টসকর্মী মিরণ হাওলাদারের মেয়ে। সে হেতালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় ওই স্কুলে একদিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, মা-বাবা গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে হালিমা তার ছোট ভাই এমামকে নিয়ে নানা বাড়িতে বসবাস করত। গত রোববার লুডু খেলাকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়।
এ ঘটনায় তার নানি তাকে একটা থাপ্পড় দিলে নানীর সঙ্গে অভিমান করে মেয়েটি রোববার বিকালে রান্না ঘরের আড়ার সঙ্গে নিজের ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়। তার স্বজনরা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
পরে সেখানে একদিন চিকিৎসার পর তার অবস্থার অবনতি হলে মেয়েটিকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে এবং পরবর্তীকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে বুধবার সকালে চিকিৎসাধীন হালিমা মারা যায়।
এদিকে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী হালিমা মারা যাওয়ায় হেতালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়টিতে একদিনের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় স্কুলের সব শিক্ষার্থীসহ সবাই শোকাহত। এ কারণে আগামীকাল বৃহস্পতিবার স্কুলে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।