পাথরঘাটা,বরগুনা থেকে:
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের গাড়ির সাথে মোটরবাইকের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দুইজনে দাড়িয়েছে।
গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল চালক বশির নিহত হওয়ার পর ও অপর ১জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে নয়টার দিকে মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বরগুনা-পাথরঘাটা সড়কের মধ্য বাইনচটকি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ইউএনওর গাড়ি চালক পালিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানাগেছে, ইউএনওর জন্য ঘাটে ফেরি অপেক্ষা করছিল, তাকে বহনকারী গাড়িটি তাই বেপরোয়া গতিতে ফেরিঘাটের দিকে যাচ্ছিল বলেই এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মোটরসাইকেল চালকের নাম বশির অপরজন
মোটরসাইকেল আরোহী মোফাজ্জেল হোসেন। নিহত বশির পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া এলাকার বাসিন্দা এবং মোফাজ্জেল হোসেনের চট্টগ্রাম থেকে পাথরঘাটায় বেড়াতে এসেছিলো বলে জানা যায়। তবে তার বাড়ি ভোলা জেলায় বলে একটি সূত্র থেকে বলা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফেরিঘাট এলাকা থেকে মোফাজ্জেল হোসেনকে নিয়ে কাকচিড়া থেকে চট্টগ্রামের টিকিট সংগ্রহ করতে যাচ্ছিল বশির। পথিমধ্যে বাইনচটকি এলাকায় পৌঁছুলে অপর দিক থেকে পাথরঘাটার ইউএনওর গাড়ির সঙ্গে বশিরের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই বশির মিয়া নিহত হন।
সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পাথরঘাটা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে বশির ও মোফাজ্জেল হোসেনকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার বশিরকে মৃত ঘোষণা করেন।