রিয়াদ মাহমুদ,কাউখালী, পিরোজপুর প্রতিনিধি॥
কাউখালী উপজেলার গ্রামগঞ্জের দরিদ্র ও অসহায় কৃষক, রিকশাশ্রমিক, ক্ষেতমজুর, দিনমজুর, প্রান্তিক চাষী, স্বামীহারা অসহায় মহিলাদেরকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ঋণ দিয়ে কিছু এনজিও গলাকাটা সুদ আদায় করছে। সুদের টাকার জন্য অনেককেই শেষ সম্বল খোয়াতে হচ্ছে।
জানা গেছে, এই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামগঞ্জের এনজিও কর্মীরা সাধারণ মানুষকে সুকৌশলে ঋণ নিতে উদ্বুদ্ধ করছে। দারিদ্রতার সুযোগে বিভিন্ন কৌশল খাটিয়ে সুদের হার দেখানো হয় ১৫-১৮ শতাংশ। কিন্তু বাস্তবে আদায় করে নিচ্ছে ২০-২৫ শতাংশ পর্যন্ত। কোন ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা ঋণ দিলে সাপ্তাহিক কিস্তিতে ২৫০ টাকা করে ৫০ সপ্তাহে পরিশোধ করতে হয়। এতে ১২ হাজার ৫শত টাকা নিয়ে যায়, ৫০০ টাকা ঋণ গ্রহীতার সঞ্চয় হিসেবে জমা থাকে। আর ২ হাজার টাকা সুদ নেয়। এই সঞ্চয়ী টাকা কোনরকম সুদঋণ গ্রহীতাকে দেওয়া হয় না। এতে এনজিওরা লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ দিয়ে সঞ্চয়ী লাখ লাখ টাকা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কাছে লাগাচ্ছে।
ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে ঋণ না পাওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এসব এনজিও তাদের কার্যক্রম বেপরোয়াভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে এইসব ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান কিংবা এনজিও কোনপ্রকার এক কিস্তি বাদ পড়ে গেলে কিংবা ঋণ পরিষদে গড়িমশি করলে চড়াসুদ আদায় করে এবং মামলার ভয় দেখিয়ে হয়রানী করে থাকে।