1. rajubdnews@gmail.com : admin :
  2. 52newsbangla@gmail.com : News 52 Bangla : Nurul Huda News 52 Bangla
  3. 52newsbangla1@gmail.com : News 52 Bangla : Nurul Huda News 52 Bangla
শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ০২:৪৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ :

ভোলার তারুয়া সমুদ্রসৈকত পর্যটন শিল্পে এক নতুন দ্বার। সরকারি পৃষ্টপোষকতার দাবি।

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

ভোলা প্রতিনিধি।

ভোলার জেলার চরফ্যাশন উপজেলার অদূরবর্তী পলিমাটির আস্তরনে গড়ে উঠা নৈসর্গিক লিলা ভূমি পর্যটকদের জন্য আকর্ষনীয় এক বিনোদন কেন্দ্র তারুয়া সমুদ্র সৈকত। সবুজ বেষ্টনীতে ঘেরা গহীন অরণ্যর মধ্যে পাখিদের অভয়ারণ্যখ্যাত, লাখ লাখ লাল কাঁকড়ার বিচরণে মনকাড়া দৃশ্য ভোলার ঢালচরের তারুয়া সমুদ্র সৈকত । মনকাড়া স্থানে যে যার মত অবস্থান করায় কমে গেছে লাল কাকঁড়া। চরটিতে পাখিরাও স্বস্তিতে বিচরণ করতে পারছে না।

প্রাকৃতিক জীব বৈচিত্রের পাশাপাশি পাখিদের অভয়ারণ্য রক্ষায় এ চরটিতে পর্যটকের ভ্রমনে সরকারি কোন নির্দেশণা নেই। নেই কোন বিধি-নিষেধ।

ফলে অংকুরেই প্রকৃতির আরেক সৌন্দর্য তারুয়া সমুদ্র সৈকত নৈসর্গিক দৃশ্য হারাতে বসেছে পুরো বাংলাদেশের মানুষ। পর্যটকরা চরটিতে গিয়ে যে যার মত সৌন্দর্য উপভোগ করলেও ভুগছে নিরাপত্তাহীনতায়। এত সৌন্দর্য বন্ধন স্থান হলেও পর্যটকরা ধাওয়া করছে কাঁকড়া ধরার জন্য। পাখিরা নির্বিঘ্নে বিচরণ কিংবা অবস্থান করতে না পারায় তারুয়া সৈকতে অপূর্ব দৃশ্য এখন হুমকির মুখে।

১৯৬৫সাল থেকে জেগে উঠা চরফ্যাশন শহর থেকে প্রায় ৩৫কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অভ্যন্তরে বিচ্ছিন্ন এ চরটি ঢালচর ভেঙ্গে পুর্ব ঢালচর হিসাবে পরিচিত হলেও এটির তারুয়া সমুদ্র সৈকত নাম করণ করা হয়।

চরটি সৌন্দর্য্য ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পরলে স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যটক দর্শনার্থীদের ভ্রমনে নিয়ে যেতে শুরু করেন। পর্যটকরা কাছ থেকে ছবি তোলা বিধি নিষেধ না থাকায় সৌন্দর্য্য বন্ধন হারিয়ে যেতে বসেছে।

পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতামত, পাখি কিংবা কাঁকড়া তাঁদের মতো করে তাদেরকে থাকতে দিতে হয়। পর্যটকরা সৌন্দর্য্য অবলোকন করতে ওই চরে যাত্রীযাপনও করছেন। ফ্রি-স্টাইলে পর্যটক-দর্শনার্থীকে নিয়ে রাখা খুবই বিপজ্জনক। সরকার পরিকল্পিতভাবে ট্যুরিস্ট ভ্রমনের উপযোগী হিসেবে ঘোষণার আগেই পর্যটকরা বিপদের সম্মুখীন হলে এর দায় নিবে কে।

ঢালচর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম হাওলাদার বলেন, সারা বছরেরই পর্যটকরা তারুয়া সমুদ্র সৈকত যায়। শীত শুরু হলে তো পর্যটদের ভীরে মুখোরিত থাকে ওই চরটিতে। আমি নিরাপত্তার স্বার্থে ওই স্থানে একটি ঘর করে একজন বেতন ভুক্ত লোক রেখে পর্যটকদের থাকার সামান্যতম সুযোগ সৃষ্টি করছি। পর্যটকরা যাহাতে এখানে এসে ভয় না পায়।সরকারের পক্ষ থেকে পর্যটন এলাকা ঘোষনা দিয়ে প্রশাসনের ব্যবস্থা করা একান্ত দরকার। দেশ-দেশান্তর থেকে এই তারুয়া সৈকতে পর্যটকেরা ঘুরতে আসে।
পর্যটকেরা একবার গেলে বার বার আসতে মন চায়। চারদিকে যতদুর চোখ যায় শুধু সাগরের অথৈই জলরাশি। তারই মাঝখানে নয়ন ভোলানো এই বিশাল চর।

যেন কুয়াকাটা ও কক্সবাজারকে হার মানায়। লাল কাঁকড়া দৌড়াদৌড়ি,পাখির জাঁক, সাগরের ঢেউ এক স্মৃতিময় মনকাড়া সুন্দরের দৃশ্য। আবার মানুষের পদচারণায় মুহুর্তেই কাঁকড়াদের গর্তে লকানো। অনুমানিক দক্ষিণ থেকে দৈর্ঘ্য দেড় থেকে দুই কিলোমিটা পশ্চিম থেকে পূর্বে প্রস্থ্য
প্রায় ১কিলোমিটার।

১ থেকে দেড় কিলোমিটার নদীর পর বিস্তির্ণ এলাকা নিয়ে আরেকটি চর জেগে উঠেছে। চেয়ারম্যান সালাম বলছেন সকল চরগুলো ফরেস্টরা দখল করে রাখছে। হাজার হাজার ভাঙ্গন কবলিত মানুষগুলো ওই চরে বসবাস করতে পারে। সরকার যদি ভোলার এই তারুয়া সৈকত নিয়ে পর্যটক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারে তাহলে একদিকে যেমন দেশী -বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষন করবে অন্য দিকে এই এলাকার অর্থনীতির উন্নয়নের দ্বার উন্মোচিত হবে বলে আশা করছেন নাগরিক সমাজ।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরও খবর
2019 All rights reserved by |Dainik Donet Bangladesh| Design and Developed by- News 52 Bangla Team.
Theme Customized BY News52Bamg;a