1. rajubdnews@gmail.com : admin :
  2. 52newsbangla@gmail.com : News 52 Bangla : Nurul Huda News 52 Bangla
  3. 52newsbangla1@gmail.com : News 52 Bangla : Nurul Huda News 52 Bangla
শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ০৮:৩৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ :

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ৭ মার্চ, ২০২০

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি।

:: আনন্দ টিভির হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ও চেকপোস্ট পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশক শেখ শাহাউর রহমান বেলালকে চিরিকোট পাঠানোর দশ দিন পর আবারও কাপনের কাপড় ও চিঠি দিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি।

সাংবাদিক শেখ শাহাউর রহমান বেলাল শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ডা. মাওলানা শেখ মুখলিছুর রহমান জেহাদীর ছেলে। সে দীর্ঘদিন যাবত সাংবাদিকতার পেশায় নিয়োজিত। ২০১৮ সালে স্যাটেলাইট টেলিভিশন আনন্দ টিভির হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পান। এবং সাপ্তাহিক চেকপোস্ট নামক একটি পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
শেখ শাহাউর রহমান বেলাল অনুসন্ধানীমুলক প্রতিবেদন পত্রিকায় প্রকাশ করায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারী রাইছ উল্লাহ নামক এক ব্যক্তি হবিগঞ্জ সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে একটি চিরকুট পাঠিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে একটি জিডি করা হয়। জিডি নং-৯১৯।
চিরকুট পাঠানোর দশ দিন পর আবারও একই ব্যক্তি নামে মাধবপুর সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস থেকে কম্পিউটারে টাইপকৃত একটি চিঠি ও কাপনের কাপড় পাঠিয়ে ফের হত্যার হুমকি দেয়।
হত্যার হুমকি দেয়া চিঠিতে যা লেখা রয়েছে, তা হুবহু তুলে ধরা হলো-
এটাই তোর জীবনের শেষ চিঠি
বেলাল আসা করি ভাল আছো। ভাল না থাকারই কথা। কারণ কিছুদিন আগে তোমাকে মৃতূর হুমকি দিয়েছিলাম। তুমি তোমার ফেসবুকে লিখেছো এতে তুমি বিচলিত নও; সত্য লিখে যাবে।
ওই তুই কি লিখবিরে। তর নিউজ কে লিখব সেটার খবর ল। আগে থেকেই রেডি করে রাখ তোর মৃত্যুর খবর লিখার জন্য। সমস্ত পত্র-পত্রিকায় অগ্রিম নিউজ কর। দেখ তোর কোন বাবায় বাঁচাতে পারে কিনা। দিন দিন তোর সাহস বাইড়া গেছে। বেশি লাফালাফি করতাছস। নিজেরে কি মনে করিস? আনন্দ টিভিত আছত বইলা কি তোই বড় সাংবাদিক হইয়া গেছত। তোর আনন্দ টিভির কোন বাবায় বাচাতে পারব, না আইব। বেশি হলে মানববন্ধন বা প্রতিবাদ করব। এরপর শেষ। কি হবে তোর? পড়ে শুধু থাকবে ইতিহাস। বিচারের অপেক্ষা। বছরে বছরে মিলাদ। লাভ নাই। তোর পাশে কেউ নাই। এখন যাদের দেখতাছত এরাও সময়মত থাকবে না। বাতাসের আগেই দৌড় দিবে।
এটা তোর জন্য শেষ চিঠি। জানি কাপনের কাপড় কিনার সময় পাবি না। তাই আগে থেকেই তোকে দিয়ে রাখলাম। গায়ে জড়িয়ে নে। পড়ে দেখ মরার পর কেমন লাগবে। না হয় পড়ে তো আফসোস করবি। যদি পারস তাহলে নিজের জানাযা নিজে পড়ে নিস, ভাল হবে। কুলখানিও করিস।
থানায় তো জিডি করলি নিরাপত্ত্বা চেয়ে। এখন কি করবি জিডি নাকি মামলা? নিরাপত্ত্বার জন্য পুলিশ কি সাথে নিয়ে ঘুরবি? নাকি তোর কোন বাপ আছে, তোরে পাহাড়া দিবে। তুই কি মনে করিস থানায় জিডি করলেই তোর পুলিশ আব্বা তোরে বাচাইতে পারব। পারবনা কেউ বাচাতে পারব না। ওই পুলিশ তোরে কি করব। থানায় যাস কেন? লিখার সময় মনে থাকে না। এখন সাহস নাই, ভয় পাস? থানায় গিয়া নিরাপত্ত্বা চাস? যারা ভীতু তারা থানায় যায়। তুই কি ভীতু? তুই সাহসী। সব সময় সত্য লিখিস। এবার দেখবি কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা? দেখি তোর পুলিশ বাবায় তোকে কয়দিন নিরাপত্ত্বা দেয়। তবে এখন না তোর নিরাপত্ত্বা শেষ হলেই তোকে ধরব। ভাবিসনা তোই একাই চালাক? তোর চাইতে আরও চালাক আছে। ঘুঘু দেখেচিস ফাদ দেখিসনি। এবার ফাদ তোকে দেখাব। রংঙ্গের ডিব্বা কারে কয় এবার বুঝবি। হুলি খেলা চিনিস? এবার হুলি হবে হুলি।
তবে আর যাই হোক তোকে ধন্যবাদ দেইরে, তোর সাহস আছে। পিছপা হসনি। তোর মত কয়েকটা থাকলে দেশটা ভাল হইত। তবে এই সাহসে কাজ হয়না। কেন এগুলি করিস। তুইতো জানিস তুই একা, তোর সাথে লোকজন নাই। তাহলে এত বাড়াবাড়ি করার কি দরকার?
মানুষ সুখে থাকলে নাকি ভুতে খিলায়। আমি দেখি তোর তাই হইছে। ভাল থাকতে পারিস না। নে কাপনের কাপড় পাঠিয়ে দিলাম। জীবনের যত চাহিদা আছে মিটিয়ে নিস। ঘুম, খাবার, সখ আল্লাদ সব করে নে। অচিরেই তোকে জীবনের ঘুম পাড়িয়ে দেব। তবে কবে কখন কিভাবে তোকে মারব তুই টের পাবিনা, তোর সাথে যারা থাকবে তারাও জানবে না। দিনে নাকি রাতে মারব তাও বলতে পারছি না। আর তোর মারতে কামান লাগবে না। হাতই যথেষ্ট। মায়ের হাতের খাবার খেয়ে নে। তুই কোথায় যাস, কি করস সবই কিন্তু এখন থেকে ফলো করছি। সাবধানে থাকিস। তোকে দিয়ে শুরু করব। যেন অন্যরা সতর্ক হয়।
বেশি কিছু লিখলাম না। বেশি লিখে আমার সময় নষ্ট করলাম না। আবারও বলছি শেষ বারের মত এই কাপনের কাপড়টা যতœ করে রেখে দে। জানাযার সময় কাজে লাগবে। তোর বন্ধু বান্ধবদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রাখিস? তোর সাথেই হবে জীবনের শেষ খেলা। নামাজ পড়ে খোদার কাছে দোয়া কর।
ইতি-
তোর মৃত্যুর পরওয়ানা (আজরাইল)
আসছি অচিরেই তোর সামনে তোর আজরাইল হয়ে। যেদিন আসব সেদিন তোর রক্ষা নেই।
খোদা হাফেজ।

শেখ বেলাল বলেন, চিঠিতে দেয়া রাইছ উল্লাহ নামক কোন ব্যক্তিকে আমি চিনিনা।
ঘটনার বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাম্মেল হোসেন বলেন, কাপনের কাপড় ও চিঠিটি আমি দেখেছি। থানায় জিডি করা হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরও খবর
2019 All rights reserved by |Dainik Donet Bangladesh| Design and Developed by- News 52 Bangla Team.
Theme Customized BY News52Bamg;a