এফ এম আনসারী ; শরীফ ডিজাইন এন্ড ডেভেলপার কোম্পানি লিমিটেডের মালিক শরীফ মাহবুবুর রহমান মুকুল বিভিন্ন প্রকার জাল-জালিয়াতি করা কাগজপত্র বিভিন্ন দপ্তরে সরবরাহ করে প্রশাসনের সকল কর্মকর্তার চোঁখে ধুলো দিয়ে সরকারী একটি খাস জমি অবৈধভাবে দখল করেছে। সেখানে সে একটি নয়তলা ভবনও নির্মান করেছে। আর এ ভবনে থাকা প্রায় ফ্ল্যাট গুলো বিক্রি করে সে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, জমিটি সেনপাড়া পর্বতা মৌজার ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত, খতিয়ান নং- ১, দাগ নং- ৪০১১৮। জমির পরিমান ১১২৮ অযুতাংশ। জমিটি অবৈধভাবে দখলে নেয়ার উদ্দ্যেশে শরীফ ডিজাইন এন্ড ডেভেলপার কোম্পানি লিমিটেডের মালিক শরীফ মাহবুবুর রহমান মুকুল বিভিন্ন প্রকার কাগজপত্র জাল জালিয়াতি করে সিটি জরিপে সৃজন করে এবং সিটি জরিপে নাম অন্তর্ভুক্ত করে। সিটি জরিপে জমির মালিক মোঃ আব্দুল গনি, পিতা মরহুম চাঁন মিয়া, ২৯, ললিত মোহন দাস লেন, লালবাগ, ঢাকাকে দেখানো হয়। পরবর্তীতে শরীফ মাহবুবুর রহমান মুকুল তার কাছ থেকে নব্বই লক্ষ টাকা মূল্য নির্ধারন করে আম মোক্তারনামা দলিল নেন। দলিল নং ১১৯৭, তারিখ ০১/০২/২০১৬ ইং। যে দলিলে জমির বর্তমান খতিয়ান নং ৩৩২০, দাগ নং ৪০১১৮, জমির পরিমান ১২ শতাংশ বলে উল্লেখ রয়েছে। এরপর সে ওই জমিতে নয়তলা একটি ভবন নির্মাণ করেন এবং ভবনে থাকা বিভিন্ন সাইজের ফ্ল্যাট বিক্রি করে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। সে একজন স্বনামধন্য এ্যাডভোকেটের কাছে একটি ফ্ল্যাট বিক্রি করার পর তা রেজিষ্ট্রি করে দিতে না পারায় তার এসব অপকর্মের কথা ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। এ ব্যপারে ওই এ্যাডভোকেট সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দপ্তরে হৈ চৈ পড়ে গেছে। ওইসব দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হয়ে বলেন, এরকম অন্যায় কাজ কখনোই হওয়া সম্ভব না যদি না এর মধ্যে কোন অসৎ ব্যক্তির হাত না থাকে। এ কাজ কোন প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে হয়নি। আবার কেউ কেউ বলছেন, এটা প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে হয়েছে।
তারা আরো জানায়, শরীফ ডিজাইন এন্ড ডেভেলপার কোম্পানি লিমিটেডের মালিক শরীফ মাহবুবুর রহমান মুকুলের এরকম একটি অপকর্ম প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে হোক আর সামনে দিয়েই হোক এটা না দেখে কিভাবে বিষয়টি সুরাহা করা যায় সেই বিষয়ে ভাবা উচিৎ।
এ ব্যাপারে জানতে শরীফ ডিজাইন এন্ড ডেভেলপার কোম্পানি লিমিটেডের মালিক শরীফ মাহবুবুর রহমান মুকুলের অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনে কল করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। চলবে