রাজপথের লড়াকু সৈনিক সাবেক ছাত্রনেতা , চেয়ারম্যান বাংলাদেশ সেচ্ছাসেবক ফাউন্ডেসন ও সদস্য কেন্দ্রীয় ধর্ম-বিষয়ক উপ-কমিটি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ , সাংগঠনিক সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটি ও সভাপতি জাতীয় ডিজিটাল সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগ , সভাপতি নারায়নগঞ্জ জেলা তাঁতীলীগ একাংশ , বিশিষ্ট সমাজ সেবক , রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জসীম উদ্দিন আহম্মেদ চেীধুরী বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি আরোও বলেন,মুক্তির প্রতিজ্ঞায় উদ্দীপ্ত হওয়ার দিন ২৬ শে মার্চ। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২৬ শে মার্চ। লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এই স্বাধীনতা,এই দিনে জাতি স্মরণ করছে বীর শহিদদের। স্বাধীনতা দিবস তাই বাংলাদেশের মানুষের কাছে মুক্তির প্রতিজ্ঞায় উদ্দীপ্ত হওয়ার ইতিহাস। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত জাতীয় দিবস ২৬ শে মার্চ। বিশ্বের বুকে লাল সবুজের পতাকা ওড়ানোর দিন ২৬শে মার্চ।তাই মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সকল শহীদদের স্মরন করছি গভীর শ্রদ্বায়। ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহীনি ঘুমান্ত নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বাংলাদেশিদের স্বাধীকার আন্দোলন,এমনকি জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলের আইনসঙ্গত অধিকারকেও রক্তের বন্যায়ে ডুবিয়ে দিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহীনী শুরু করেছিল সারাদেশে গনহত্যা।সেইরাতে হানাদাররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল,ইকবাল হল,রোকেয়া হল,শিক্ষকদের বাসা,পিলখানার ইপিআর সদর দপ্তর,রাজারবাগ পুলিশ লাইনে একযোগে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে হত্যা করে অগনিত নিরস্ত্র দেশ প্রেমিক ও দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। পাকহানাদার বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একাধিক গনকবর খুঁড়ে সেখানে শত শত লাশ মাটি চাপা দিয়ে তার ওপর বুলডোজার চালায়।বুড়িগঙ্গায় নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয় নিহতদের লাশ।বঙ্গবন্ধু ঘোষিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হ্যান্ডবিল আকারে ইংরেজী ও বাংলায় ছাপিয়ে চট্রগ্রামে বিলি করা হয়। আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক জহুর আহমেদ চেীধুরী বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা চট্রগ্রামের ইপিআর সদর দপ্তর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ওয়্যারলেস মারফত পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।চট্রগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এম.এ হান্নান দুপুর ২টা ১০ মিনিটে এবং ২টা ৩০ মিনিটে চট্রগ্রাম বেতার থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনা পত্র পাঠ করেন।সেই সঙ্গে রচিত হয় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।২৫ শে মার্চের মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া হত্যাযজ্ঞের ধ্বংসস্তুপের মধ্য থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশীরা এই দিন থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ স্বাধীন করার শপথ গ্রহন করেন।ঐ রাতেই তৎকালীন পূর্ব বাংলার পুলিশ,ইপিআর ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা শুরু করে প্রতিরোধ যুদ্ধ,সঙ্গে যোগ দেয় সাধারন মানুষ। ৯ মাসের যুদ্ধে ৩০ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে ১৬ ই ডিসেম্বর অর্জিত হয় স্বাধীনতা। জন্ম হয় বাংলাদেশ। মহান স্বাধীনতা দিবসের এই দিনে জাতি সকল বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে উৎসবের পাশাপাশি শ্রদ্ধা আর বেদনায় স্মরণ করবে মুক্তিযুদ্ধে আত্ম উৎসর্গ করা লাখো শহীদ যোদ্ধাকে। শ্রদ্ধা জানাই স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী তাদের সহকর্মী জাতীয় নেতাদের।মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সকল শহীদদের স্মরন করছি গভীর শ্রদ্ধায়