রাজকর
—– মোহাম্মদ হাসানুর রহমান
মহারাজা শশাঙ্ক চালু করলেন এক বর্ষ পাতা
বহু পুরানো দিন সেটা সপ্তম শতাব্দীর কথা,
পালের পর সেনরা ছিল, সেন পালালে তুর্কি এলো
ভূমিকরের যাঁতাকলে কৃষক-প্রজা তেমনই রইল।
হুমায়ুন পুত্র আকবর, সম্রাট হয়ে এলেন
সিংহাসনে বসেই তিনি এ ঘোষণা দিলেন-
সনাতন বা হিজরি নয়, প্রজার জন্য করবর্ষ চাই
ভূমিকরের নীতিমালা শীঘ্রই কর সরল সোজা
শস্য আইন চালু করে লাঘব কর করের বোঝা।
রাজ-জ্যোতিষী ফতুল্লাহ ধারণা দিলেন শেষে
বৈশাখ মাসে বছর শুরু চৈত্রে তা শেষ হবে।
বাংলা সনের এ নিয়মে চলবে সকল কর্ম
শেষ হবে সব দেনা পাওনা, নেই ভেদাভেদ ধর্ম।
প্রজার খুশি রাজার ইচ্ছে সম্রাট অতি মহান
সেদিন থেকেই চলছে আজো নববর্ষের জয়গান।
বৈশাখী গান রংবাহারী হলুদ ফ্রেমের কল্পনা
পটুয়া আঁকে দিনমজুরের মলিনমুখের আলপনা।
বিত্তশালী ফি বছরে ইষ্টি ছুঁতোয় লাগায় পালিশ
হালখাটা চুরি হয়ে রমনা খাওয়ায় পান্তা ইলিশ।
উন্নয়নের ডামাডোলে নিত্য চাপে করের বোঝা
কর দেওয়াটা প্রজার ধর্ম, কর দিত তাই বাধ্য প্রজা।