হাকীম গোলাম আজম ইরাদ :
মাদারীপুরের সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়ন থেকে সরকারী ৮ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি সদর থানা পুলিশ।
অন্যদিকে কেন্দুয়া ইউনিয়নের ত্রাণের দাবীতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে
স্থানীয়রা। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।পুলিশ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের
চরদক্ষিণপাড়া গুচ্ছগ্রাম এলাকায় আব্দুল মান্নান মিয়ার ঘরে থানা পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় আব্দুল মান্নান মিয়ার ঘর থেকে ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুদা হবে নিরুদ্দেশ’ লেখা সরকারী ৮ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। তবে কৌশলে বাড়ীর মালিক পালিয়ে যায়। এই ঘটনার সাথে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যার অমিত হোসেন কবির জড়িত থাকতে পারে বলে পুলিশ ধারণা করছেন। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
অন্যদিকে একই উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের সমাদ্দার ব্রীজের উপর শত শত কর্মহীন মানুষ ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে ত্রাণের জন্যে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। সড়ক অবরোধের কারনে ১ ঘন্টারও বেশি সময় মহাসড়কে সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে পন্যবাহী ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহনের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়। পরে প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল্লার নেতৃত্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
বিক্ষোভের বিষয় মাদারীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের ধর্মীয় সম্পাদক হালিম শিকদার, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জুয়েলসহ আরো বেশ কয়েকজন অভিযোগ করে জানান, ‘আমরা নৌকায় ভোট দিয়েছি অনেক আশা করে কিন্তু লকডাউনের একমাসের বেশি অতিক্রম করলেও এখন পর্যন্ত আমরা কিছুই পাইনি। আমরা এই এলাকার মানুষ উপজেলা নির্বাচনসহ সব নির্বাচনেই নৌকায় ভোট দেই।
আমাদের ইউপি চেয়ারম্যান বর্তমানে আওয়ামীলীগের এক প্রভাবশালী নেতার লোকহওয়ার কারণেও এমনটি হতে পারে। এ পর্যন্ত উপজেলা চেয়ারম্যানসহ কেউ আমাদেরখোঁজ খবর নেয়নি। আমদের কাজ-কর্ম বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছি।’
সদর থানার ওসি জানান, ‘চাল উদ্ধারের ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। তবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি ওই ঘরের মালিককে আটকের জন্যে। এই চাল চুরির ঘটনায় ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি জড়িত
থাকলে তাকেও আটক করা হবে।