সামাজিকতা কোন পথে : মহসীন মিয়া মানিক
করোনার ভয়ে এখন আর কেউ কাউকে দাওয়াত দেয় না । সৌজন্যতাবশতও কেউ বলে না বাসায় আসবেন কিন্তু কিংবা ফোনে কথা হলেও বাসায় আসা যাওয়ার কথা কেউ বলে না। যদিও দাওয়াত দিলে কিংবা বাসায় যেতে বললেও কেউ যাবে না। শশুর বাড়ীর লোকেরাও মেয়ে জামাইকে দাওয়াত না দিয়ে অন্য কথা বলে কিংবা কোথাও না গিয়ে বাসায় থাকার পরামর্শ দেয়।গতকাল আমাদের মহল্লায় জামাই শাশুড়িকে বাসায় না উঠিয়ে ফিরতি সিএনজি অটোরিকশায় পাঠিয়ে দিয়েছে। জীবন বাঁচানোর তাগিদে করোনার ভয়ে মানুষের চক্ষু লজ্জা একদম উঠে গেছে।
একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রতিটা মানুষই জীবন সংগ্রামে এগিয়ে চলার প্রত্যয়ে প্রতিমূহুর্তই ব্যস্ত থাকে। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সামাজিক দায়বদ্ধতা গুলো ঠিকমতো মেনটেন করতে পারে না।
আজ সামাজিক দায়বদ্ধতা পালনের জন্য মানুষের হাতে প্রচুর সময় থাকলেও করোনা নামীয় ক্ষুদ্র ভাইরাসটি মানুষের সমস্ত আবেগ ও অনুভূতি কেড়ে নিয়েছে। কারণ মানুষকেতো আগে বেঁচে থাকতে হবে ! মানুষ বেঁচে না থাকলে কোটি কোটি বছর আগের মতো যদি পৃথিবী নামক গ্রহটা জীব জন্তুর দখলে চলে যায়!
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দর্শনার্থী না থাকায় ডলফিনদের দখলে, মেক্সিকো সমুদ্র সৈকত কুমিরদের দখলে,ইংল্যান্ডের রাস্তায় বন্যছাগল, কেপটাউনে পেঙ্গুইন, থাইল্যান্ডে বানর,মুম্বাইয়ে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, মৃত্যু উপত্যকা ইতালির ভেনিস এখন শান্তির দূত হাঁসদের দখলে । অর্থাৎ পুরো পৃথিবী এখন জীব জন্তুর অভয়ারণ্যে পরিণত হওয়া শুরু হয়েছে। যার কারণে মানুষ হয়তো ভয় পেয়ে বেঁচে থাকার স্বার্থে সমস্ত সামাজিকতা ভুলে যেতে শুরু করেছে,যেমনটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানের হয়েছিল। তবে ক্ষয় ক্ষতি যতোই হোক সামাজিকতা হারিয়ে গেলে মানুষ যন্ত্র মানবে পরিণত হবে। তাঁর চেয়ে তো রোবটই ভালো!
লেখক -এডভোকেট মোঃ মহসীন মিয়া (মানিক)
সাবেক আহ্বায়ক মতলব উত্তর উপজেলা ছাত্রলীগ ।
তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ। সাধারণ সম্পাদক,ছেংগারচর পৌর কমিউনিটি পুলিশিং। চাঁদপুর ।