এইচ আর রুবেল ,হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ৭নং নূরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মুখলিছ মিয়ার বিরুদ্ধে ভিজিডি চাল মানুষের মাঝে ত্রাণের চাল বিতরণের চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (৮মে) দুপুরে অভিযোগ পেয়ে হবিগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসিন আরাফাত রানা নুরপুর ইউনিয়ন অফিসে ৬ঘন্টা অভিযান চালিয়ে ত্রাণের ৩৪ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে। এসময় শায়েস্তাগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট সুমি আক্তার উপস্থিত ছিলেন। মামলা ও পুলিশের গ্রেপ্তারের ভয়ে চেয়ারম্যান মুখলিছ মিয়া পালিয়ে যায়।
অভিযোগে জানা যায়, চেয়ারম্যান মুখলিছ মিয়া ভিজিডি কার্ডের মাধ্যমে দু:স্থ নারীদের মধ্যে ৩০ কেজি চাল ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে বিতরণ করার কথা। কিন্তু তিনি ট্যাগ অফিসারের অনুপস্থিতিতে ২৩ বস্তা চাল বিতরণ করেন। এসময় ভিজিডির ৩০০ কেজি চালের কোন হদিস পাওয়া যায়নি।
এদিকে সারাদেশে লকডাউনের কারনে নিম্ন আয়ের মানুষজন কর্মহীন হয়ে পড়ায় সরকার ত্রাণ হিসেবে তাদের জন্য সারাদেশে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছে। যাতে নিম্ন আয়ের মানুষদের না খেয়ে থাকতে হয়। অসহায় এসব মানুষদের মুখে খাবার তুলে দিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরকে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় নুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুখলিছ মিয়া দ্বায়িত্ব পান ত্রাণ বন্টন করার। কিন্তু বন্টনের শুরু থেকেই তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযান চলাকালীন সময়ে তার অফিস থেকে ১৭০০ কেজি চাল জব্ধ করা হয়।
দুপুর ১২ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত টানা ৬ঘন্টা তদন্তে বেরিয়ে আসে অনিয়মের চিত্র। বিকাল ৫টা ৩০মিনিটে শায়েস্তাগঞ্জ থানার একদল পুলিশ উপস্থিত হলে চতুর চেয়ারম্যান মুখলিছ মিয়া পুলিশের উপস্থিতিতি টের পেয়ে ইফতারের আগ মুহুর্তে পালিয়ে যায়।
তদন্ত চলাকালে অনেকেই অভিযোগ করেন, ত্রাণের চাল না পাওয়ার। আবার অনেক নাম লিষ্টে থাকা সত্বেও তারা চাল পাননি।
ভুক্তভোগিরা অভিযোগ করেন, গত জানুয়ারী মাসে ভিজিডির চাল পেলেও বিগত ৪ মাস ধরে কোন ভিজিডির চাল তারা পাননি। এছাড়া অনেকের অগ্রিম স্বাক্ষর ও টিপসহি দিয়ে ভিজিডি চাল আত্মসাতের অভিযোগও করেন ভুক্তভোগীরা।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন জানান, নুরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুখলিছ মিয়ার বিরুদ্ধে ভিজিডির ৩০০ কেজি চাল আত্মসাতের অভিযোগ পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে ।