কাপ্তাই প্রতিনিধি॥
মহামারি করোনা আক্রান্ত (কোভিট-১৯) আক্রান্তের পর হতে কর্মহীন হয়ে পড়া অস্বচ্ছল অসহায় পরিবারের জন্য কাপ্তাই উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্বরুপ এ পর্যন্ত ২শ’ মেট্রিকটন খাদ্যশস্য, শিশুখাদ্যের জন্য ৩লাখ ৪১ হাজার টাকা,গুড়া দুধের জন্য ৩১ হাজার টাকা
এবং নগদ ১০লাখ ৩০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে,যা ইতিমধ্যে জন প্রতিনিধিরা সামাজিক দুরত্ব এবং সরকারের দেয়া সকল আইনকানুন মেনে হতদরিদ্রের বাড়ি,বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে।
কাপ্তাই প্রায়ই ইউনিয়নে দূর্গম প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার চেয়ারম্যান,মেম্বার এবং গ্রাম
পুলিশরা ইউনিয়ন পরিষদের খরচে পৌঁছে দিয়েছে। এ ছাড়া এ সব ত্রাণসামগ্রী নিজেদের সকল খরচে উপজেলা হতে উত্তোলন পরিবহন যোগে ও প্যাকেটিং করে ইউনিয়নে লক্ষাধীক টাকা ব্যয় হয়েছে। অথচ এই খাতে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে সর্বমোট ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা করেছে সরকারি ত্রাণ মন্ত্রনালয়।
ফলে প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এই অপ্রতুল্য বরাদ্দে। ৪নং ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ জানান,তাই ইউনিয়নের দূর্গম হরিণছড়া,বাইজ্যাতলি,বন্ধুকভাঙ্গা,ভাইবোনছড়া, সড়কপথ নেই,যে খানে নৌ পথে দফায় ,দফায় সরকারি ত্রাণ তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে নিজ খরছে।
প্রতিবার ও পরিবহন খরচ হয়েছে হাজার টাকারও উপরে। ২নং রাইখালী ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এনামুল হক ও ৩নং ইউপি চেয়ারম্যান চিংথোইয় মারমা জানান,তাদের ইউনিয়নে প্রায়ই ওয়ার্ড দুর্গম।
এসব এলাকায় সরকারি সহায়তা পৌঁছানো ব্যয়সাধ্য। ফলে প্যাকেটিং থেকে পরিবহরণ সব খাতে তাদের যে টাকা সরকার প্রদান করেছে তা একেবারেরই অপ্রতুল বলে উল্লেখ করেন। একই অভিযোগ করেছে ১নং চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী ও ৫নং ওয়াগ্গা ইউপি চেয়ারম্যান
চিরনজিত তংচংগ্যা তারা বলেন,এসব খাতে আরো সরকারি বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
উপরোক্ত এ সকল বিষয়ে জানতে চাইলে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশ্রাফ আহমেদ রাসেল জানান,সরকারি ত্রাণ সহায়তা উপজেলা উত্তোলন,পরিবহন এবং জনগণের ঘরে,ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা। তবে এইসব ক্ষেত্রে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের লক্ষাধীক টাকা খরচ হয়েছে। তবে ইতিমধ্যে এ খাতে ৫টি ইউনিয়ন এর অনুকুলে ৭০হাজার টাকা প্রদান করা হলেও
যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।আনুপাতিক হারে এই টাকা ৫টি ইউনিয়ন পরিষদে বন্টন করা হয়েছে এবং বরাদ্দ সাপেক্ষে এই ব্যয় মিটানো হবে বলে তিনি জানান।
বিষয়টি রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকে অবহিত করবেন বলে নির্বাহী অফিসার উল্লেখ করেন।