শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি::
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ৮নং শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড এর বর্তমান ইউপি সদস্য আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে সরকারের দেয়া ঈদ উপহার হিসেবে নগদ অর্থ তালিকা প্রনয়নে ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগ উঠেছে।
উক্ত ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক তার আপন ছোট ভাইসহ কয়েকজন নিকটাত্মীয়ের নামে ২৫০০ টাকার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এমনকি একই পরিবারের একাধিক সদস্য, চাচতো ভাইয়ের নামসহ অন্য ওয়ার্ডের ব্যক্তিকেও তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়। এছাড়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় থাকা ব্যক্তি ও বয়স্কভাতা প্রাপ্ত ব্যক্তিও তালিকায় রয়েছেন।
এ ব্যাপারে গত ২১ মে ৯নং ওয়ার্ডবাসীর পক্ষে মোঃ আজগর আলী শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
দাখিলকৃত অভিযোগ পত্রে দেখা যায়, মোঃ জমিস উদ্দীন পিতা-মৃত আকছির মিয়া ইউপি সদস্যের আপন ছোট ভাই। মোঃ তহিদ মিয়া পিতা-জিতু মিয়া, ইউপি সদস্যের চাচাতো ভাই।
এছাড়া মোঃ আজদু মিয়া, মোঃ ফারুক মিয়া পিতা-এংরাজ আলী, তারা দুজনেই আপন দুই ভাই। মোছাঃ আমিনা খাতুন স্বামী আব্দুর রহিম, মোঃ আব্দু রহিম পিতা আব্দুল হাসিম, সম্পর্কে তারা স্বামী-স্ত্রী। সফিক মিয়া, ওয়াহেদ মিয়া, কদর আলী পিতা-মৃত ইছব আলী, একই পরিবারের আপন তিন ভাই। ফেরদৌস আলী ও রহমত আলী পিতা-আনিছ উল্লা, তারাও একই পরিবারের দুই ভাই। এছাড়া ফেরদৌস আলী বয়স্ক ভাতা পান বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বিশ্বজিৎ দত্ত পিতা-মৃত বকুল দত্ত ও রঞ্জিত দত্ত পিতা-মৃত্যুঞ্জয়ী দত্ত তারা দুজনেই বহিরাগত। ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নন এবং একানখার ভোটারও নন। কিভাবে অন্য ওয়ার্ডের লোকজন আর্থিক সহায়তার তালিকায় নাম উঠলো এমন আলোচনা এখন হাটে-বাজারে। বইছে সমালোচনার ঝড়।
এদিকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় থাকা ১০টাকা কেজির চাল-এর লিস্ট থেকে পাওয়া যায় মৃত আফিল উদ্দীনের ছেলে ফারুক মিয়া এবং মৃত ইয়াকুব উদ্দীনের ছেলে কালা মিয়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় থাকা সত্ত্বেও সরকারের দেয়া নগদ অর্থেও ভাগ বসিয়েছেন।
এভাবে ইউপি সদস্যের আত্মীয়দের নাম পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, আগামী নির্বাচনে ভোটের জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তার আত্মীয় স্বজনের নাম তালিকায় দেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে সুবিধা বঞ্চিত অসহায় মানুষের পক্ষ থেকে মোঃ আজগর আলী নিরুপায় হয়ে গত ২১মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করা হয়। সরকারের দেয়া ঈদ উপহার হিসেবে নগদ অর্থ প্রদানে নামের তালিকাটি সঠিক তদন্ত করে সমাধানের ব্যবস্থা করার জন্য প্রশাসনের সু দৃষ্টি কামনা করছেন লাদিয়া গ্রামবাসী।