কাপ্তাই প্রতিনিধিঃ
পার্বত্য চট্রগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের কর্ণফুলী রেঞ্জের খালের মূখ বিট এলাকায় বনদস্যুদের উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। রাইখালী,রাঙ্গুুনিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা হতে একশ্রেণীর বনদস্যু বিভিন্ন গাছ কাটার সরঞ্জম ও দেশিও তৈরি অস্ত্র নিয়ে জঙ্গলে ঘাঁটি করে বন বিভাগের লোকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে গভীর জঙ্গলে গিয়ে গাছ কর্তন করে আসছে।
এদিকে বন বিভাগের লোকেরা এদের আস্তানার খবর পেয়ে গভীর জঙ্গলে টহল জোড়দার করে। কর্ণফুলী রেঞ্জকর্মকর্তা গঙ্গা প্রসাদ চাকমা জানান,তার দিক নির্দেশনায়,খালের মুখ বিট কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর দাশ ও তার টহল দল বনের মধ্যে পাহাড়া দিয়ে চলতি জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে ঐ বনদস্যুদের আস্তানায় হানাদেয় এবং কয়েক রাউন্ড ফাঁকাগুলি করে এদের ছত্রভঙ্গ করে গাছকাটা বড় গদু দা,করাত উদ্ধার করে।
এদিকে বিট কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর দাশ বলেন,এক সাপ্তাহ না যেতে গত চার দিন পুর্বে বুধবার(২৪জুন) রাত সাড়ে তিনটায় ১৯৩৯ সনের বাগানে টহলরত বনদস্যুরে সাথে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া করে এবং প্রায় ৮ রাউন্ড গুলি চালিয়ে ১টি গদু দা,১টি করাত দশ টুকরা সেগুন গোল কাঠসহ গাছ কর্তনকারী বনদস্যু মংটু মারমা (৩০)ও মংবুঅং মারমা(২২) কে আটক করা হয়।
এরা একজন হল রাইখালী গংগীছড়া পাড়ার মংসুইপ্রু মারমা ছেলে অন্য জন হল চিৎমরমের আগারপাড়ার চমংসিং মারমার ছেলে। বিট কর্মকর্তা বলেন,আসামিরা হল অত্যন্ত দুর্ধষ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির এদের সংখ্যায় অনেক বেশি ছিল বলে রাইফেলের ৫রাউন্ড গুলি এবং শার্টগানের তিন রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে আটক করা হয়। এবং ঐদিনেই আসামিদের বিরুদ্ধে বন আইনের মামলা দায়ের করে রাঙ্গামাটি চীপ জুডিশিয়াল আদালতে প্রেরণ করা হয়।