আশুরা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি দিবস যা ইসলামি চন্দ্র বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মুহররমের দশম দিনে অনুষ্ঠিত হয়।
ইসলামী বর্ষ পরিক্রমার প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখকে প্রিয় নবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) আশুরা নামে অভিহিত করেছেন। বিশ্ব ইতিহাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এই দিনে সংঘটিত হয়েছে। সেগুলো যুগে যুগে মুসলমানদের অস্তিত্বের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। মুসলমানরা বিশ্বাস করে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন মহররমের ১০ তারিখে। এ দিনেই তিনি তা ধ্বংস করবেন। এ দিনেই হজরত আদমের (আ.) সৃষ্টি, জান্নাতে প্রবেশ, পৃথিবীতে প্রেরণ এবং আল্লাহতাআলার দরবারে তার তওবা কবুল হয়। এছাড়া আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল এ দিনে। তাই এটি মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন।
হিজরি মহররম মাসের ১০ তারিখ আশুরায় বাংলাদেশে সরকারি ছুটি থাকে। এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর নাতি হজরত ইমাম হোসেন (রা.) ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে শহীদ হন। সেই থেকে মুসলিম বিশ্বে কারবালার শোকাবহ ঘটনাকে ত্যাগ ও শোকের প্রতীক হিসেবে পালন করা হয়।
শিয়া মুসলিমরা এই দিনে নবি হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর নাতি এবং তার পরিবারের সাথে ঘটে যাওয়া বিয়োগান্তক ঘটনাকে স্মরণ করে।
আশুরা সেই তারিখের সাথে মিলে যায় যে তারিখে কারবালার যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, যার ফলশ্রুতিতে নবি হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) নাতি হোসাইন (রা.) ও হযরত মুহাম্মাদ(সাঃ) পরিবারের (আহল আল-বাইত) সদস্য হোসাইন ইবনে আলীর শাহাদাত হয়।
শিয়া মুসলিমদের জন্য এটি প্রধানত শোকের একটি উপলক্ষ যা প্রায়ই স্মারক মিছিল দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।সেই থেকে মুসলিম বিশ্বে কারবালার শোকাবহ ঘটনাকে ত্যাগ ও শোকের প্রতীক হিসেবে পালন করা হয়।