কাপ্তাই প্রতিনিধি।
দেখে মনে হয় সোনালী সবুজের মাঠ।আসলে কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানার তীব্র যানজট। সীমাহীন দুর্ভোগে পরীক্ষার্থী। রবিবার হতে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে এইচ এস সি পরীক্ষা। এবং এস,এস,সি টেস্ট পরীক্ষা।কিন্ত বিধিবাম প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কাপ্তাই হ্রদে ধেয়ে আসছে কচুরিপানার যানজট। মাত্র ৩তিন মিনিটের গন্তব্য জায়গা পৌঁছাতে সময় লাগছে তিন ঘন্টা।
আবার মাঝপথে ইঞ্জিন চালিত বোট বা লঞ্চের তেল ফুরিয়ে বিপাকে পড়ছে নৌযাত্রীরা। আবার কেউ কেউ কচুরিপানা যানজট পাড়ি দিতে গিয়ে ইঞ্জিনের পাখা ভেঙ্গে সীমাহীন দুর্ভোগে ভুগতে হচ্ছে।
গত একসপ্তাহ যাবৎ কাপ্তাই হ্রদের বিভিন্ন এলাকা হতে কচুরিপানা আপস্টিম যেটিগেটে এসে জড়ো হচ্ছে । যার ফলে আইল্যান্ড এলাকা হতে জেটিঘাট ২/৩ মিনিটের জায়গায় পৌছাতে নৌযানের সময় লাগছে ২/৩ ঘন্টা।
হরিণছড়ার ইউপি সদস্য অংসাচিং মারমা, নবীন কুমার তনচংঙ্গ্যা ও জেলে পাড়ার উজ্জল দাশ জানান, কচুরিপানার তীব্র যানজটের ফলে পরীক্ষার্থীদের নিয়ে সঠিক সময় পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। সামনে এ যানজট অপসরণ করা না হলে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। অভিভাবকরা এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছে।
কাপ্তাই মাছ ব্যবসায়ী দিদারুল আলম জানান,কচুরিপানার তীব্র যানজটের ফলে তাদের মাছ সঠিক সময় পৌঁছাতে না পারায় মাছ পচেঁ লাখ টাকা গচ্চা যাচ্ছে।
এছাড়া সরকারি-ব্যসরকারি এবং বিভিন্ন সংস্থার লোকজন, কাপ্তাই,বিলাইছড়ি,জুছড়াছড়ি বড় কলসহ বিভিন্ন এলাকায় সঠিক সময় পৌঁছাতে পারছে না। যার ফলে ব্যবসাসহ সব কিছুতেই ধস নেমেছে।
কাপ্তাই মৎস্য উপকেন্দ্র শাখা ব্যবস্থাপক মাসুদ আলম জানান, মাছ পচনশীল তা বিভিন্ন উপজেলা হতে সঠিক সময়ে পৌঁছাতে না পারায় ব্যবসায়ী এবং সরকারের ব্যাপক লস হচ্ছে। তিনি কচুরিপানার তীব্র যানজট অপসারণের দাবি জানান।
৪নং কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ প্রতিনিধিকে জানান,কচুরিপানা এখন জাতীয় সমস্যার মত দেখা দিয়েছে।প্রতি বছর এ কচুরিপানা যানজট লেগেই থাকে। যার ফলে ব্যবসাসহ সব কিছুতেই ধ্বস নামে।
তিনি আরও বলেন, কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ব্যবস্থাপকে বিষয়টি জানান এবং তাদের মেশিন দিয়ে কচুরিপানা যানজট অপসরণের দাবি জানান।
রবিবার হতে বিউবো কাজ করবে বলে উল্লেখ করেন।